আজ শনিবার, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সাবেক মন্ত্রী মতিন চৌধুরীর আসনে কি এবার মন্ত্রীত্ব পাবেন আ.লীগের গাজী

মতিন চৌধুরীর আসনে

নবকুমার:

রূপগঞ্জ ঢাকার পার্শ্ববর্তী একটি অতিগুরুত্বপূর্ণ উপজেলা। রূপগঞ্জকে বলা হয় বাংলাদেশের রাজনীতির দ্বিতীয় প্রাণ কেন্দ্র। জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ ১ আসন অন্যতম হেভিওয়েট আসন। বিএনপি যত বার ক্ষমতায় এসেছেন ততবার রূপগঞ্জ থেকে মন্ত্রিত্ব পেয়েছে আব্দুল মতিন চৌধুরী। তিনি ছিলেন ১৯৯১ সালে বিএনপির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির বস্ত্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন । মতিন চৌধুরী ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। এক সময় বলা হত বগুড়ার পড়ে যদি বাংলাদেশের দ্বিতীয় কোন বিএনপির ঘাটি থাকে সেটা হলো নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ। সেই রূপগঞ্জে বিএনপির জেল জুলুম নির্যাতন অত্যাচার শয্য করে আওয়ামীলীগের ঘাটি হিসেবে গড়ে তুলেছেন গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোলাম দস্তগীর গাজী বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী সাবেক বিজিএমই এর সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান কে প্রায় ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। সেই নির্বাচনে রূপগঞ্জ বাসি ধানের শীষ বর্জন করে গোলাম দস্তগীর গাজীকে নৌকা প্রতীকে ভোট দেন। তাদের স্বপ্ন ছিলো গোলাম দস্তগীর গাজী মন্ত্রী হবে রূপগঞ্জের উন্নয়ন করবেন কিন্তু না মন্ত্রী সভায় স্থান দেন নাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রূপগঞ্জ বাসি দ্বিতীয় বারের মত ২০১৪ সালে গোলাম দস্তগীর গাজীকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে তারা দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোলাম দস্তগীর গাজী কে নৌকায় ভোট দেন। তখন ভোটারদের প্রত্যাশা ছিলো গোলাম দস্তগীর গাজী মন্ত্রী সভায় স্থান পাবে । কিন্তু না দ্বিতায় বারের মত নারায়ণগঞ্জ বাসি মন্ত্রিত্ব থেকে বঞ্চিত হয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোলাম দস্তগীর গাজী বিএনপির প্রার্থী কাজী মনিরুজ্জামানকে ২ লাখের অধিক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে হ্যাট্রিক করেছেন। এবারের নির্বাচনে গোলাম দস্তগীর গাজী কে পরাজিত করতে লন্ডন থেকে তারেক রহমান এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কাজী মনিরুজ্জামানের পক্ষে ভোট ক্যাম্পেইন করেছেন কিন্তু পারেন নাই গোলাম দস্তগীর গাজীকে পরাজিত করতে।
রূপগঞ্জ বাসী তৃতীয় বারের মতো গোলাম দস্তগীর গাজীকে নৌকায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছেন । নারায়ণগঞ্জ ১ আসনে রূপগঞ্জ বাসী আওয়ামী লীগ তথা নৌকার মন্ত্রী চায়।

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, রূপগঞ্জ একটি হেভিওয়েট আসন। বিএনপি জামায়াতের জেল জুলুম নির্যাতন সহ্য করে আমরা বার বার শেখ হাসিনাকে রূপগঞ্জ আসনটি উপহার দিয়েছি। আমি রূপগঞ্জ বাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবী জানাই তিনি যেনো গোলাম দস্তগীর গাজীকে মন্ত্রী সভায় স্থান দিয়ে আমাদের পুরস্কৃত করেন।

নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে নারায়ণগঞ্জ বাসি বার বার মন্ত্রীত্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। মন্ত্রীসভায় স্থান পেতে একজন এমপির যা যোগ্যতা থাকা দরকার তার সবগুলোই গোলাম দস্তগীর গাজীর আছে। উনি মুক্তিযুদ্ধের মহাবীর। আমি নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি তিনি যেনো গোলাম দস্তগীর গাজী কে মন্ত্রী সভায় স্থান দেন।

তিনি বলেন, যেখানে বিএনপির আমলে মন্ত্রী থাকে সেখানে আওয়ামীলীগ সরকার মন্ত্রী না দিলে আমরা জনগণের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি না। এবার মন্ত্রী না দিলে আমাদের জনসমর্থন ধরে রাখা কষ্ট হয়ে যাবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে গোলাম দস্তগীর গাজীর পদচারণায় বদলে গেছে রূপগঞ্জের উন্নয়ন চিত্র। বর্তমান সরকার রূপগঞ্জের উন্নয়নের জন্য যতগুলো প্রকল্প দিয়েছে সবগুলো প্রকল্পই অত্যন্ত দক্ষতার সাথে বাস্তবায়ন করেছেন গোলাম দস্তগীর গাজী। তার নামে নেই কোন দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ। গোলাম দস্তগীর গাজীর ব্যবহারে মুগ্ধ নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষ। নারায়ণগঞ্জের সকল শ্রেনী পেশার মানুষের আস্থা রয়েছে তার উপর । তিনি কোন বিতর্কীত কর্মকান্ডে নিজে জড়ান নাই।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ